ভিপি নুরের সাবেক সহযোগীদের নতুন সংগঠনের ঘোষণা

সকলের খবরসকলের খবর
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৪:১১ PM, ০৪ অক্টোবর ২০২৩
‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামে এক নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আলোচকেরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আসিফ হাওলাদার

‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামে এক নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আলোচকেরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আসিফ হাওলাদার

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হকের নুরের একসময়ের সহযোগীদের উদ্যোগে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামে এক নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।

৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন সংগঠনের ঘোষণা দেন এর উদ্যোক্তারা। সংবাদ সম্মেলনটি মধুর ক্যানটিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে আগে থেকেই ছাত্রলীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর অবস্থানের কারণে এটি ডাকসু ভবনের সামনে করা হয়। গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হয়েছেন ভিপি নুরুল হকের একসময়ের সহযোগী আখতার হোসেন। সদস্যসচিব হয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক কর্মী মো. নাহিদ ইসলাম। দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও গণ অধিকারের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আখতার হোসেনের নেতৃত্বে নতুন সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়েছে। এ সংগঠনের নাম ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’। উদ্যোক্তাদের দাবি, ছাত্রশক্তির নেতৃত্বে ভবিষ্যতের ছাত্ররাজনীতি হবে ‘সোনালি মানুষ তৈরির প্রক্রিয়া’।

নতুন এই ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান নাহিদ ইসলাম। এতে বলা হয়, ‘সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে যে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশে একটি নতুন ছাত্ররাজনীতি দরকার, যা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে; একটি নির্দলীয় নতুন ছাত্রসংগঠন, যার মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত ও সচেতন একটি রাজনৈতিক প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব।

এখানে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি হবে এবং একটি জাতীয় শিক্ষা আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠনের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিসর নির্মাণ ও নাগরিকমুখী রাজনীতির মাধ্যমে সামাজিক শক্তি বাড়াতে হবে।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্ররাজনীতি মানুষ গড়ার প্রক্রিয়া। ছাত্রশক্তি শিক্ষার্থীদের ভেতরের দায়, দরদ ও মানবিক মর্যাদার উন্মেষ ঘটানো এবং মেধা-মননের বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করবে। ছাত্রশক্তির নেতৃত্বে ভবিষ্যতের ছাত্ররাজনীতি হবে সোনালি মানুষ তৈরির প্রক্রিয়া।

ছাত্রশক্তির সাংগঠনিক রূপরেখা, কর্মসূচি, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির (ডিএসএফ) মূলনীতি শিক্ষা, শক্তি ও মুক্তি। সংগঠনের আদর্শ দায়, দরদ ও মানবিক মর্যাদাভিত্তিক রাজনৈতিক সমাজ গঠন; রাজনৈতিক অবস্থান মধ্যমপন্থী ও গণতান্ত্রিক। ছাত্রশক্তির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, পরিসর ও সংস্কৃতি নির্মাণ, শিক্ষার্থী-কল্যাণ, ছাত্র-নাগরিক রাজনীতি নির্মাণ এবং রাষ্ট্র-রাজনৈতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন।

নতুন এই সংগঠনের বৈশিষ্ট্য জাতীয় ছাত্ররাজনীতি, নাগরিক ছাত্ররাজনীতি, মধ্যমপন্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি, জ্ঞানভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি এবং সৃজনশীল ছাত্ররাজনীতি। ছাত্রশক্তির কর্মসূচি হবে রাজনৈতিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, জাতীয় শিক্ষা আন্দোলন, গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গঠন, ছাত্র-নাগরিক সংহতি, যত্নের রাজনীতি নির্মাণ এবং সাংস্কৃতিক সক্রিয়তা।

আপনার মতামত লিখুন :